বাংলা ব্যাকরণে বাক্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আর বাক্যের প্রকারভেদ বুঝতে পারলেই ভাষা ব্যবহারে স্পষ্টতা আসে। অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন করে, খোলা বাক্য কাকে বলে? সহজভাবে বলতে গেলে, যে বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ নয় এবং যার ভাব বুঝতে বাক্যের পরের অংশ জানা প্রয়োজন, তাকে খোলা বাক্য বলে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক— “যদি আমি যাই,” বা “যখন তুমি আসবে।” এই বাক্যগুলো পড়লে বোঝা যায়, কোনো একটা ভাব প্রকাশ করা হচ্ছে, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ। “যদি আমি যাই” বললেই প্রশ্ন জাগে— কোথায় যাব? কেন যাব? অর্থাৎ বাক্যটি সম্পূর্ণ নয়। তাই এটি একটি খোলা বাক্য।
খোলা বাক্য সাধারণত কোনো শর্ত, সময়, কারণ বা উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে না। একে অন্য বাক্যের সঙ্গে যুক্ত করলে তবেই পুরো অর্থ স্পষ্ট হয়। যেমন— “যদি আমি যাই, তবে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে।” এখানে প্রথম অংশ “যদি আমি যাই” খোলা বাক্য, আর দ্বিতীয় অংশ “তবে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে” যোগ হলে তা সম্পূর্ণ অর্থবোধক বাক্যে পরিণত হয়।
বাংলা ভাষায় খোলা বাক্য ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো বাক্যকে ভাবগম্ভীর বা পরিস্থিতি নির্ভর করা। সাহিত্য, গল্প বা কথোপকথনে এই ধরনের বাক্য প্রায়ই ব্যবহৃত হয় অনুভূতি বা প্রত্যাশা প্রকাশের জন্য।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য মনে রাখার মতো বিষয় হলো— খোলা বাক্য কখনোই একা দাঁড়ায় না; এটি সর্বদা অন্য বাক্যের সাহায্যে সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে। তাই ব্যাকরণ শেখার সময় বাক্যের গঠন ও ভাবের মিল বোঝা খুব জরুরি।
সংক্ষেপে বলা যায়, খোলা বাক্য হলো এমন একটি অসম্পূর্ণ বাক্য, যা পূর্ণ ভাব প্রকাশের জন্য অন্য বাক্যের ওপর নির্ভরশীল।